বিতর্কের জবাব দিলেন মুফতি আরিফ বিন হাবিব
তামাদ্দুন ডেস্ক : গতকাল কিশোরগঞ্জ ওয়াজে যেই আলোচনাটি করেছিলাম... মঞ্চে উঠার আগে নিয়ত করেছিলাম কুরআন নিয়ে মোট ৪০টি কথা বলব, কুরআন থেকে ১১ টি, হাদীস থেকে ২২ টি, উপসংহারে কুরআন ও হাদীস থেকে আরো ৭টি। ১১+২২+৭=৪০। মঞ্চে উঠার পর মানুষের উপস্থিতি দেখে ইস্তেগফার ও দরুদ পড়ছিলাম আর চিন্তা করতেছিলাম বয়ান কি আগেরটাই ঠিক রাখব?এক.
আমরা অনেকেই একটা ভুল জেনে এসেছি যে সালাম দিলে ৯০ নেকি আর জবাব দিলে দশ নেকি,,,,,,, কথাটি সঠিক নয়। তারপর সালামের পক্ষে দুটি আয়াত ও নয়টি হাদীস পেশ করেছিলাম।
প্রমাণ-১
জান্নাতিদের কে সালামের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে,
وَ سِیۡقَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا رَبَّہُمۡ اِلَی الۡجَنَّۃِ زُمَرًا ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءُوۡہَا وَ فُتِحَتۡ اَبۡوَابُہَا وَ قَالَ لَہُمۡ خَزَنَتُہَا سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ طِبۡتُمۡ فَادۡخُلُوۡہَا خٰلِدِیۡنَ
আর যারা তাদের রবকে ভয় করেছে তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন সেখানে এসে পৌঁছবে এবং এর দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে তখন জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম, তোমরা ভাল ছিলে। অতএব স্থায়ীভাবে থাকার জন্য এখানে প্রবেশ কর’।
সুরা জুমার-৭৩
প্রমাণ-২
রবের সাথে সাক্ষাতে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন হবে,
تَحِیَّتُہُمۡ یَوۡمَ یَلۡقَوۡنَہٗ سَلٰمٌ ۖۚ وَ اَعَدَّ لَہُمۡ اَجۡرًا کَرِیۡمًا
যেদিন তারা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে সেদিন তাদের অভিবাদন হবে: ‘সালাম’। আর তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান।
প্রমাণ-৩
আদম আঃ কে ফেরেশতাদের সাথে সালামের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেওয়া,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ عَلَى صُورَتِهِ، طُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، فَلَمَّا خَلَقَهُ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ جُلُوسٌ، فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ، فَإِنَّهَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ. فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ. فَقَالُوا السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ. فَزَادُوهُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ، فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ بَعْدُ حَتَّى الآنَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আদাম (আঃ) –কে তাঁর যথাযোগ্য গঠনে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর উচ্চতা ছিল ষাট হাত। তিনি তাঁকে সৃষ্টি করে বললেনঃ তুমি যাও। উপবিষ্ট ফেরেশতাদের এই দলকে সালাম করো এবং তুমি মনোযোগ সহকারে শোনবে তারা তোমার সালামের কী জবাব দেয়? কারণ এটাই হবে তোমার ও তোমার বংশধরের সম্ভাষণ (তাহিয়্যা)। তাই তিনি গিয়ে বললেনঃ ‘আস্সালামু ‘আলাইকুম’। তাঁরা জবাবে বললেনঃ ‘আস্সালামু ‘আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ’। তাঁরা বাড়িয়ে বললেনঃ ‘ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বাক্যটি। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বললেনঃ যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা আদাম (আঃ) –এর আকৃতি বিশিষ্ট হবে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত মানুষের আকৃতি ক্রমশঃ কমে আসছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬২২৭
প্রমাণ-৪
সালাম গুনাহ মাফের কারণ,
وعَن حُذَيْفَة - رَضِي الله عَنهُ - عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: إِن الْمُؤمن إِذا لَقِي الْمُؤمن فَسلم عَلَيْهِ، وَأخذ بِيَدِهِ فصافحه، تناثرت خطاياهما, كَمَا يَتَنَاثَر ورق الشّجر
কোন মুমিন অপর মুমিনের সাথে সাক্ষাৎ করে সালাম, মুসাফাহা করলে তাদের উভয়ের গুনাহ সমুহ গাছের পাতার মতো ঝড়ে পড়ে যায়।
সহিহুত তারগীব-২৭২০
প্রমাণ-৫
ইসলামে কোন্ জিনিসটি উত্তম?
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ " تُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামে কোন্ জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেন, তুমি খাদ্য খাওয়াবে ও চেনা অচেনা সকলকে সালাম দিবে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১২
হঠাৎ শ্রোতাদেরকে বললাম,
প্রিয় ভাইসব! সালামের ব্যাপারে এত সুন্দর বর্ননা থাকতে আমরা ভুল বর্ননা কেন গ্রহণ করব? তারপর আবার প্রমাণ দেওয়া শুরু করলাম।
প্রমাণ-৬
হিজরত করে মদীনায় এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভাষনে সালামের গুরুত্ব দিয়েছেন,
عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ انْجَفَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ وَقِيلَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ فِي النَّاسِ لأَنْظُرَ إِلَيْهِ فَلَمَّا اسْتَبَنْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَرَفْتُ أَنَّ وَجْهَهُ لَيْسَ بِوَجْهِ كَذَّابٍ وَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ " أَيُّهَا النَّاسُ أَفْشُوا السَّلاَمَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصَلُّوا وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِسَلاَمٍ " .
আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) হ থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মাদীনায় এসে পৌছলেন, মানুষ তখন দলে দলে তার নিকট দৌঁড়ে গেল। বলাবলি হতে লাগলো যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসেছেন। অতএব তাকে দেখার জন্য আমিও লোকদের সাথে উপস্থিত হলাম। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখে বুঝতে পারলাম যে, এই চেহারা কোন মিথ্যুকের চেহারা নয়। তখন তিনি সর্বপ্রথম যে কথা বললেন তা এইঃ হে মানুষগণ! তোমরা সালামের প্রসার ঘটাও, খাদ্য দান কর এবং মানুষ ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় (তাহাজ্জুদ) নামায আদায় কর। তাহলে নিশ্চয়ই তোমরা সহীহ-সালামতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৪৮৫
প্রমাণ-৭
সালাম জান্নাতে যাওয়ার কারণ,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا، وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا، أَوَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ ؟ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا . أَوَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى شَىْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ "
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ঈমানদার ছাড়া কেউই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালবাসবে। আমি কি তোমাদের তা বলে দিব না, কি করলে তোমাদের মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসার সৃষ্টি হবে? তা হলো, তোমরা পরস্পর বেশি সালাম বিনিময় করবে।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৪ (মোট হাদীস-৩০৩৩) সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৯৮ (মোট হাদীস-৭৪৫৩)
প্রমাণ-৮
সালাম বরকতের কারণ,
عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا بُنَىَّ إِذَا دَخَلْتَ عَلَى أَهْلِكَ فَسَلِّمْ يَكُونُ بَرَكَةً عَلَيْكَ وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِكَ " .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ হে বৎস! তুমি যখন তোমার পরিবার-পরিজনের নিকটে যাও, তখন সালাম দিও। তাতে তোমার ও তোমার পরিবার-পরিজনের কল্যাণ হবে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৬৯৮
প্রমাণ-৯
মানুষের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক উত্তম ঐ ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়।
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِاللَّهِ مَنْ بَدَأَهُمْ بِالسَّلاَمِ "
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক উত্তম ঐ ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১৯৭
প্রমাণ-১০
সালাম সম্পর্কে ত্রিশ নেকির একটি বর্ননা শোনেন।
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ . فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَشْرٌ " . ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ . فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ " عِشْرُونَ . ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ . فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ " ثَلاَثُونَ "
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম। তিনি তার জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃ দশ নেকি!
এরপর আরেকজন এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুরূপ জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেন, বিশ নেকি!
অতঃপর আরেকজন এসে বললো, আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারও জবাব দিলেন। লোকটি বসলো। তিনি বললেনঃত্রিশ নেকি।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১৯৫
প্রমাণ-১১
প্রিয় উপস্থিতি!
সিথিল সনদে চল্লিশ নেকির একটি বর্ননা পাওয়া যায়,
عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ زَادَ ثُمَّ أَتَى آخَرُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ وَمَغْفِرَتُهُ فَقَالَ " أَرْبَعُونَ " . قَالَ " هَكَذَا تَكُونُ الْفَضَائِلُ "
সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ:
সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস (রাঃ) হতে তার পিতার মাধ্যমে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। এতে আরো রয়েছে : এরপর আরেকজন এসে বললো, আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহু। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেনঃ চল্লিশ নেকি।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আরো বলেনঃ এভাবে নেকি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১৯৬
একপর্যায়ে আমি বললাম ভাই! আমি যা বলছি এগুলোর উপর আমি নিজেও যেন আমল করতে পারি, বুখারীর ৩২৬৭ নং বর্ননাতে এসেছে
" يُجَاءُ بِالرَّجُلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ، فَتَنْدَلِقُ أَقْتَابُهُ فِي النَّارِ، فَيَدُورُ كَمَا يَدُورُ الْحِمَارُ بِرَحَاهُ، فَيَجْتَمِعُ أَهْلُ النَّارِ عَلَيْهِ، فَيَقُولُونَ أَىْ فُلاَنُ، مَا شَأْنُكَ أَلَيْسَ كُنْتَ تَأْمُرُنَا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَى عَنِ الْمُنْكَرِ قَالَ كُنْتُ آمُرُكُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَلاَ آتِيهِ، وَأَنْهَاكُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَآتِيهِ "
ক্বিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অরঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন আগুনে পুড়ে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামবাসীরা তার নিকট একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করতে আর অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না আর আমি তোমাদেরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা করতাম। এ হাদীসটি গুনদার (রহঃ) শুবা (রহঃ) সূত্রে আ’মাশ (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩২৬৭
আপনাদের কে আরেকটি বর্ননা বলি,
أتيتُ ليلَةَ أُسْرِيَ بي علَى رِجالٍ تُقْرَضُ شِفَاهُهُم بمقاريضَ من نارٍ قلْتُ مَنْ هَؤُلَاءِ يَا جبريلُ قال هؤلاءِ خطباءُ أمتِكَ
আমি মেরাজে যাওয়ার সময় একদল মানুষ কে দেখলাম তাদের ঠোঁট আগুনের কাচি/কেচি দ্বারা কাটা হচ্ছে, আমি জিজ্ঞাসা করলাম এরা কারা হে জীবরাঈল! তিনি বললেন তারা হলো আপনার উম্মতের বক্তাগন
أخرجه أحمد 13445
হঠাৎ বললাম আচ্ছা!
আপনারা কি জানেন মেরাজ কবে হয়েছে?
অনেকেই বলে দিল সাতাশে রজব, ,,,, আমি বললাম এই তথ্যটির নির্ভরযোগ্য কোন প্রমাণ নেই, মেরাজ হয়েছে একথা ১০০/%সত্য ,,, সুরা বানী ইসরায়েলের শুরু এবং সহিহ বুখারীর ৩৪৯ নং লম্বা আলোচনা এসেছে।
আচ্ছা!
আপনারা কি এ কথা শুনেছেন যে "সালাত মুমিনের মেরাজ"? অনেকেই হ্যাঁ বলল। আমি বললাম এটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে মিথ্যা কথা, এটা কারো উক্তি হতে পারে তবে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বানী নয়।
দুই.
সুদূর চীন দেশে গিয়ে বিদ্যা অর্জন কর।
ভাই! এটার নিচে আল হাদীস লেখা মানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে মিথ্যাচার করা।
তারপর বিদ্যার্জনের স্বপক্ষে কয়েটা হাদীস বর্ণনা করলাম,
বর্ননা-১
একটা হাদীস যাচাই করার জন্য প্রায় ১৩ শত কিলোমিটার অতিক্রম করে মদিনা থেকে দামেস্ক সফর।
عَنْ قَيْسِ بْنِ كَثِيرٍ قَالَ : قَدِمَ رَجُلٌ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى أَبِي الدَّرْدَاءِ وَهُوَ بِدِمَشْقَ، فَقَالَ : مَا أَقْدَمَكَ يَا أَخِي؟ فَقَالَ : حَدِيثٌ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُحَدِّثُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
কাইস ইবনু কাসীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মাদীনা হতে দামিশকে (অবস্থানরত) আবু দারদা (রাঃ)-এর নিকট এলো। তিনি প্রশ্ন করলেন, ভাই! তুমি কি প্রয়োজনে এসেছো? সে বলল, একটি হাদীসের জন্য এসেছি। আমি জানতে পারলাম যে, আপনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে সেই হাদীস বর্ণনা করছেন।
قَالَ : أَمَا جِئْتَ لِحَاجَةٍ ؟ قَالَ : لَا. قَالَ : أَمَا قَدِمْتَ لِتِجَارَةٍ ؟ قَالَ : لَا. قَالَ : مَا جِئْتُ إِلَّا فِي طَلَبِ هَذَا الْحَدِيثِ ؟
তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন, তুমি অন্য কোন প্রয়োজনে আসনি? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসনি? সে বলল, না; সে আরো বলল, আমি শুধুমাত্র সেই হাদীসটির খোঁজেই এসেছি।
قَالَ : فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ " مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَبْتَغِي فِيهِ عِلْمًا ؛ سَلَكَ اللَّهُ بِهِ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ، وَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ، وَإِنَّ الْعَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ، حَتَّى الْحِيتَانُ فِي الْمَاءِ، وَفَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ، إِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ، إِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا
এবার তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ ‘ইল্ম লাভের উদ্দেশ্যে যে লোক পথ চলে আল্লাহ তা‘আলা এর মাধ্যমে তাকে জান্নাতের পথে পৌঁছে দেন এবং ফেরেশতাগণ ইল্ম অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। অতঃপর আসমান-যমীনের সকল প্রাণী (আল্লাহ তা‘আলার নিকট) আলিমদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানির জগতের মাছসমূহও। সমস্ত নক্ষত্ররাজির উপর পূর্ণিমার চাঁদের যে প্রাধান্য, ঠিক তেমনি (মূর্খ) ‘আবিদগণের উপর আলিমদের মর্যাদা বিদ্যমান। অবশ্যই আলিমগণ নাবীদের ওয়ারিস। আর নাবীগণ উত্তরাধিকার হিসেবে কোন দীনার বা দিরহাম রেখে যাননি, বরং তাঁরা রেখে গেছেন মীরাস হিসেবে ‘ইল্ম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৬৮২
তখন আমি বললাম,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলেমদের কে কুরআন ও সুন্নাহের ওয়ারিস বানিয়েছেন, সুতরাং আলেমদের কাজ হলো জাতির কাছে এই মিরাছ যথাযথভাবে বন্টন করা।
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে কোন ভাবেই মিথ্যা বলা যাবে না, কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,,,, এ কথা বলে বুখারী শরীফের ১০৯ ও ১১০ নং হাদীস পেশ করলাম।
مَنْ يَقُلْ عَلَيَّ مَا لَمْ أَقُلْ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
সালামা ইব্নু আক্ওয়া’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যাক্তি আমার উপর এমন কথা আরোপ করে যা আমি বলিনি, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১০৯
وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আমার নামে তোমরা নাম রেখ; কিন্তু আমার উপনামে (কুনিয়াতে) তোমরা নাম রেখ না। আর যে আমাকে স্বপ্নে দেখে সে ঠিক আমাকেই দেখে। কারণ শয়তান আমার আকৃতির ন্যায় আকৃতি ধারণ করতে পারে না। যে ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামে তার আসন বানিয়ে নেয়।’
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১১০
তারপর বললাম বিদ্যা সম্পর্কে এত সুন্দর হাদীস থাকতে আমরা জাল বর্ননা কেন শুনব ভাই!?
তারপর বিদ্যা সম্পর্কে আরও দুটি বর্ননা পেশ করলাম,
وَمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ، وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ ؛ إِلَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ، وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ، وَحَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন কোন সম্প্রদায় আল্লাহর গৃহসমূহের কোন একটি গৃহে একত্রিত হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং একে অপরের সাথে মিলে (কুরআন) অধ্যয়নে লিপ্ত থাকে তখন তাদের উপর শন্তিধারা অবতীর্ণ হয়। রহ্মাত তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে এবং ফেরেশ্তাগণ তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখেন। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিকটবর্তীদের (ফেরেশ্তাগণের) মধ্যে তাদের কথা আলোচনা করেন।
মুসলিম-২৬৯৯
মোট হাদীস-৩০৩৩ মুল কিতাব
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৭৪৬
মোট হাদীস-৭৪৫৩ এ্যাপস
তারপর তিরমিজি শরীফের ২৬৪৭ নং হাদীস বর্ণনা করলাম,
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ الْعَتَكِيُّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ خَرَجَ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَرْجِعَ
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি জ্ঞানের খোঁজে বের হলে সে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় আছে বলে গণ্য হবে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৬৪৭
তারপর আবার বললাম ভাই!
আমরা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন মিথ্যা কথা বলবনা, তাখন মুসলিম শরীফের ১,৬,৭ নং হাদীস পেশ করলাম।
অতঃপর সাধারণ মিথ্যা থেকেও সবাইকে আহবান জানিয়ে সহিহ বুখারীর ৬৪৭৩,তিরমিজির ২৩১৪ ও ২৩১৫ , আবু দাউদের ৪৯৯১ নং হাদীস পেশ করলাম,,,,, আলোচনা সমাপ্তি টেনে শ্রদ্ধেয় মেজর সাহেব আমার সাথে হাসিমুখে মুসাফাহা করলেন, তারপর তিনি মাইক নিয়ে হাসিখুশি আলোচনা শুরু করলেন, কিছুক্ষণ বসে থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম, আমি আধা কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করার পর কেউ একজন ফোন করে বললেন যে মাহফিলে গন্ডগোল হয়েছে ইত্যাদি (যা আপনারা মিডিয়াতে দেখেছেন)
পরিশেষে কয়েকটি আরজ,
এক.
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গতকাল মিডিয়া আমার বয়ান রেকর্ড করেছে, আপনারা পুর্ন বয়ানটি হয়তো পেয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ। যদি কোন ভুল পেয়ে থাকেন আমাকে জানাবেন আমি শুধরে নিব ইন শা আল্লাহ।
দুই.
আল্লাহকে হাজির নাযির জেনে বলছি "ভাইরাল হওয়ার ধান্দা" কোন কালেই ছিলনা, নাই, থাকবেনা ইন শা আল্লাহ। মুফতী আরিফ জাব্বার কাসেমী ভাই আমাকে নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার পর আমাকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছিল।
তিন.
আল্লাহর কসম করে বলছি আমার নিয়ত হলো লা মাযহাবী, মাযহাবী, সুন্নি, কওমী, আলিয়া সবাই যেন কুরআন ও সুন্নাহর আলোচনা করে, আর ঘটনা বললে যেন সত্য ঘটনা বলেন।
চার.
সব মাসলাকের ভাইদেরকে বলব আমার সম্পুর্ন ভিডিওগুলো দেখলে আমার হাজারো ভুলের মাঝে একটা সত্য পাবেন সেটা হলো সবাই যেন এই 'মাঠকে, ব্যবহার করে সঠিক কথাগুলো মানুষ কে জানিয়ে দেয়। আমার হাজারো ভুল স্বীকার করে সর্বশেষ একটা আবদার রাখি, প্রয়োজনে মাহফিল কম হোক কিন্ত আপনাদের (ওয়ায়েজদের) মাধ্যমে যেন কম হলেও জাতি সঠিক কথাগুলো জানতে পারে। সবাইকে আল্লাহ ভালো রাখেন।
আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।
Post a Comment