বৃষ্টিভেজা শৈশব
প্রকাশঃ
মাহমুদুল হাসান ➤
![]() |
| ছবি : মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ |
বৃষ্টি নিয়ে অনেক গল্প আছে। আছে অনেক কথা। এতো সহজেই যা ফুরোবে না। শৈশবে বৃষ্টি ভেজার আনন্দ ছিলো অন্যরকম। ছিলো বৃষ্টিভেজা কদমফুল উৎসব। বৃষ্টির দিন আম কুড়ানো ছিলো সময়ের দাবি। একটু বাতাস হলেই গাছ থেকে ঝরঝর করে আম পড়তো। তাই নিয়ে শুরু হতো হুড়োহুড়ি। বৃষ্টির দিন কাদাজলে কে হাঁটতে যাবে; যদি পা পিছলে যায়! তাই ঘরে বসেই চলতো চোর-পুলিশ খেলা। এখন কোথায় সেইসব বৃষ্টি আর শৈশবের প্রাণবন্ত দিনগুলি! কালের আবর্তে কোন সে অজানায় হারিয়ে গেছে!
গেলোবার বৃষ্টিজলে থৈ থৈ করছিলো বিল। জলে ভরে উঠেছিলো চারদিক। সকাল-সন্ধ্যা জাল দিয়ে মাছ ধরতাম। পুটি, টেংরা, শিং—এ যেনো অন্যরকম জীবন। তাই তো আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। এবার তেমন জল নেই। তাই মাছেরও জোয়ার আসেনি। বিলে মানুষ ধান লাগাতে ব্যস্ত। আগে পেট, তারপর আনন্দ। ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে বাঁচলে বাঁচবে জীবন। বাঁচবে পরিবার। ঢের আনন্দ হবে পরে।
এখনও বৃষ্টি হয়। সকাল হয়, সন্ধ্যে নামে। কিন্তু আমাদের সেই প্রাণোচ্ছল দিনগুলি আর নেই। পৃথিবী যেনো বদলে গেছে। আধুনিকতার কড়াল গ্রাসে সমাজকে বিষিয়ে তুলেছে। আমাদের প্রাণবন্ত দিনগুলো আর নেই। কোথায় সেই খেলা আর খেলার মাঠ! আমাদের সব বন্ধন আর বন্ধুত্ব যেনো সর্বনাশী মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। সেই বৃষ্টিভেজা শৈশবের জন্য মনটা কেঁদে ওঠে বারবার।
মুহাম্মদপুর, ঢাকা

Post a Comment