ঢাকা

No edit

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাঃ

No edit

সংবাদ শিরোনাম ::
Header Ads

করোনায় ঈদ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
মাহমুদুল হাসান 

প্রচ্ছদ : কাজী হাসানুল বান্না

ঈদুল আজহা; মুসলমানদের এক অনাবিল আনন্দের দিন। যা পালিত হচ্ছে নবিযুগ থেকে। যার প্রচলন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের থেকে। নিজের প্রিয় সন্তানকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করেন তিনি। তাঁর ত্যাগে আমরা পেয়েছি এই মহিমান্বিত ফজিলত। প্রতি পশমে প্রতিদান।

এটি অপরিসীম এক খুশির দিন। যেদিন ধনী-গরিবের কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই এক কাতারে সমবেত হই। ফরিয়াদ জানাই প্রতিপালকের দরবারে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই বাড়ি অবস্থান করছি। মাদরাসায় এবার কোরবানি করা হলো না। গতবারও হয়নি। খুব মিস করছি। কয়েকদিন যাবৎ কোরবানির প্রস্তুতি, উস্তাদদের দিকনির্দেশনা। কোরবানির দিন সকালে পোলাও, গোশত, পায়েশ যেনো অমৃত। নামাজ শেষে নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান। চলে জবাইয়ের প্রতিযোগিতা। কার থেকে কে বেশি! সারাদিন ছুরি নিয়ে দৌড়ের মহড়া। রক্তমাখা জামা। একসময় দিন শেষ হয়ে আসে। বেলা অস্ত যায়। তারপর রাতের গাড়িতে বাড়ির পথ ধরি।

বাড়িতেও ঈদের আনন্দ হয়। তবে একটু ভিন্নভাবে। কতো কিছুর আয়োজন হয়! কতো আনন্দ, বিনোদন চলে সারাদিন! তবুও কোথায় জানি একটু শূন্যতা রয়েই যায়।

ঈদের দিন বিকেলে বাড়তি একটু আনন্দ যোগ হয়। আত্মীয়দের বাড়ি গোশত বিতরণ। সৌজন্য সাক্ষাৎ। ভালোবাসার মোলাকাত। খানিকটা মুক্ত বাতাসে বিচরণ। ঈদ সবার মাঝে সৃষ্টি করে ভালোবাসার বন্ধন। যেখানে নেই কোনো আবরণ।

করোনার প্রকোপে আমরা পর্যুদস্ত প্রায়। অনেকেই বলতে পারবে না, ঈদ কি? আনন্দ কি জিনিস? এই আগ্রাসী করোনার ছোবল কেড়ে নিয়েছে অনেকের মুখের হাসি। অনেকে প্রিয়জনহারা। শোকে আড়ষ্ট জীবন তাদের। তাদের ঈদ কেমন কাটবে, যাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের সময়টা কেমন যাবে, যারা অর্থহীন! ইচ্ছে করলে আমিও পাশে দাঁড়াতে পারি। বাড়াতে পারি একটু সহানুভূতির হাত। ইনশাআল্লাহ, প্রতিদান হিসেবে জমা হতে থাকবে বহুগুণে।

সহসম্পাদক : আলোর মিনার
লক্ষ্মীরহাট, ঠাকুরগাঁও

একটি মন্তব্য করুন