রাহমানিয়া ইস্যু : যে কথা হয়নি বলা
প্রকাশঃ
হাসান জামিল ➤
![]() |
| প্রচ্ছদ : কাজী হাসানুল বান্না |
এই কথাটা আমাকে খুব ভাবায়, একজন তাইসিরপড়ুয়া ছাত্রও বড়ো বড়ো আলেমদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার মতো সাহস তৈরি করে ফেলেছে! ভাব দেখে মনে হয়, বড়ো বড়ো আলেমদের এই সকল চুনোপুটির কাছে রাষ্ট্র ও ধর্মজ্ঞান শিখতে আসতে হবে।
গোটা কওমি পরিবারের জন্য এটা কতো বড়ো লজ্জার কথা। বয়স বিশের ধারেকাছেও যায়নি, নাক টিপলে এখনও দুধ বেরুবে, এমন কিছু পিচ্চি-পাচ্চাকে দেখলাম হাজার আলেমের সারেতাজ মুফতি মনসুরুল হক সাহেবকে নিয়ে গালিগালাজ করছে। ন্যায়-অন্যায় তো পরের কথা। এই গালি দেওয়ার শিক্ষাটা তারা কোন সিলেবাসে পেলো!?
যেখানে একজন সাধারণ মানুষকে অসাধু ভাষায় সম্বোধন করা নিন্দনীয়, সেখানে জাতির কাণ্ডারি একজন শ্রেষ্ঠ মুফতির ব্যাপারে এ সকল শব্দ কী করে সমীচীন হতে পারে? আবার কিছু মানুষকে দেখলাম, তারা ২০২১-এ পদার্পণ করে ২০০১-এর ইতিহাসটা ভুলে বসেছে কিংবা জানা থাকলেও সেদিকে দৃষ্টিপাত করছে না।
আজকে শাইখুল হাদিস পারিবারের দরদে তারা ফেটে পড়ছে। অথচ সেদিন মুফতি সাহেবের করুণ আর্তনাদ কেউ দেখেনি, কেউ শোনেনি। আজ মামুনুল হক সাহেবের দূরাবস্থার জন্য তাদের খুব করুণা হচ্ছে। কিন্তু সেদিন মুফতি সহেবকে বিল্ডিং থেকে বের করে দেওয়ার পর উনি কোথায় উঠেছিলেন? এটা নিয়ে কাউকে কথা বলতে দেখা যায় না।
টিনসেডে উঠে, বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে, শীতে কেঁপে কেঁপে, অকাতরে দরস ও তাদরিসের কাজ আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। সেই করুণ দৃশ্যগুলো নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না। সেদিন তো মাহফুজুল হক সাহেব, মামুনুল হক সাহেবের অনেক ক্ষমতা ছিলো। কিন্তু কই, তারা তো মুফতি সাহেবের পাশে দাঁড়াননি একজন আলেম হিসেবে কিংবা নিজেদের একজন উস্তাদ হিসেবে? সেদিন তো তারা দরদ দেখাননি। বস্তুত মুফতি সাহেবের সেই করুণ দশার জন্য আজকের শাইখুল হাদিস পরিবারের দুজন ব্যক্তি—মাহফুজুল হক সাহেব ও মামুনুল হক সাহেবই দায়ী ছিলেন।
সুতরাং স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই. যারা আজকে শাইখুল হাদিস সাহেব (রহ.)-এর সন্তানদ্বয়কে মজলুম বলছেন, তারা যেনো অবশ্যই স্বীকার করে নেন, ২০০১ সালে সেদিন মুফতি সাহেবও মজলুম ছিলেন। আর আজকে একজন মজলুম আলেম তার অধিকার ফিরে পেয়েছেন।
লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া বাইতুস সালাম, উত্তরা, ঢাকা

Post a Comment