ঢাকা

No edit

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকাঃ

No edit

সংবাদ শিরোনাম ::
Header Ads

রাহমানিয়া তুমি কার?

প্রকাশঃ
অ+ অ-
উসাইদ মুহাম্মদ

প্রচ্ছদ : কাজী হাসানুল বান্না

যার ভবন সে নিয়ে গেছে। এতে দখলের কিছু নেই। উনারটা উনি আজ না হয় কাল অবশ্যই নেবেন। যার জিনিস সে নিয়ে গেলে তাকে দখল বলে না।

এখানে যে জিনিসটা পাওয়া যায়, সেটা হচ্ছে গোড়ামি। আচ্ছা, রাহিমানিয়া সংক্রান্ত একটা মেমোরি শেয়ার করি। 

একবার নিউমার্কেট গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করতে। কেনাকাটা শেষে দোকানদার জিজ্ঞেস করলেন কোথায় পড়ি। বললাম, ‘মুহাম্মদপুর।’ আগবাড়িয়ে তিনিই বললেন, ‘ওহ রাহমানিয়া, তাই না?’ আমি কিছুই বললাম না।
 
প্যাকেটিং শেষে দোকানদার খুশিমনে চা খাওয়াতে চাইলেন। কানে কানে এটাও বললেন, ‘হুজুর! আপনার জন্য পঞ্চাশ টাকা ছাড়। শাইখুল হাদিস সাবরে মুহাব্বত করি তো, হুজুরের উসিলায় কিছু কম রাখলাম। আবার আইসেন।’

আসল কথা হলো, আমি কোনো রাহমানিয়ারই ছাত্র নই৷ তবে রাহমানিয়ার নাম ভাঙিয়ে বহু জায়গায় হেডম দেখিয়েছি। শুধু আমিই নই, মুহাম্মদপুরের প্রায় মাদরাসার (বিশেষ করে আবরারের) ছাত্ররা এ সুবিধাটা ভোগ করে। কারণ তারা তো রাহমানিয়ারই ছাত্র। কিন্তু কখনও এ সুবিধা স্বীকার করবে না।  এটাকেই বলে গোড়ামি। 

ছিপছিপে গড়নের পাঁচতলা ভবন। যার পুরো আদলেই শ্যাওলা পড়ে গেছে। এমন একটি ভবনের জন্য বহুতল ভবনের শিল্পপতি আলেমের লোভ ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে৷ ব্যাপারটা নিতান্ত হাস্যকর। এখানেও কি গোড়ামি কাজ করছে না?

আপনি যতোই প্রশাসনের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেন, উঁহু, আপনার কথায় বিশ্বাসী নই। যার উদর থেকে আল্লামা মামুনুল হক সাহেবের জন্ম, প্রশাসনের সামনে সে কেনো এমন নতজানু? তার কণ্ঠ এতো মিনমিনে কেনো? কিসের ভয়? প্রশাসনের? নাকি এগারো তলা ভবনের হিসেব নিয়ে? দেশের একজন বিজ্ঞ এবং প্রবীণ মুফতির কাছ থেকে কেউ এসব আশা করেনি।

মুহাম্মদপুরে কোনো ছাত্র পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই সে কিতাবুন, কলামুন শেখার আগে শিখে যায় ‘শায়খ আর মুফতি সাহেবের কিচ্ছা’। আমরা চাইনি আমাদের পরের প্রজন্ম এসব আর না দেখুক। না জানুক। কিন্তু আপনারা সে সুযোগটা দিলেন না। আপনারা চান, প্রত্যেকে জানুক এ ইতিহাস। জানার পরে গালি, নিন্দা আপনারাই পাচ্ছেন। বিশ বছরের জিইয়ে রাখা মামলা নতুন করে সামনে এনে কী পরিচয় দিচ্ছেন? একজন আলেম কতোটা গোড়ামি করতে পারেন, তাইতো? বিল্ডিং তো আর বাবার রক্ত বেচে বানাননি। 

আমরা চাই, বিল্ডিং আপনাদেরই প্রাপ্য। কিন্তু কথা হচ্ছে কী জানেন, রাহমানিয়া চাইলে অন্য জায়গায় গিয়ে আরও নামধামের সঙ্গে আয়োজন করে শিক্ষাকার্যক্রম চালাতে পারবে। পড়ালেখা উন্নত ও মানসম্মত করে আপনারা রাহমানিয়ার কাছেও যেতে পারবেন না। তবে আপনাদের ভেতর যে গোড়ামি, রেশারেশির ভাব, তা যতোদিন না কাটবে, এগারো তলা কেনো, একশো তলা করলেও মানুষের গালি, নিন্দা থেকে রেহাই পাবেন না। গোড়ামি ছাড়ুন। পরিবেশ ভালো করুন।

লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া, লালবাগ, ঢাকা

একটি মন্তব্য করুন