রাহমানিয়া প্রসঙ্গ : জল ঘোলা নয় হোক সমঝোতা
প্রকাশঃ
ওয়ালিউল্লাহ আরমান ➤
![]() |
| প্রচ্ছদ : কাজী হাসানুল বান্না |
বিষয়টা এমন হলে কতোই না সুন্দর হয়! মুফতি মনসুরুল হক সাহেব জামিয়া রাহমানিয়া গেলেন, কিছু সময় কাটালেন। অতঃপর মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেবকে ডেকে বললেন, ‘বিগত দুই দশক ধরে যেহেতু আপনি সযত্নে কৃতিত্বের সঙ্গে জামিয়া রাহমানিয়া সামলাচ্ছেন; সুতরাং আপনার তত্ত্বাবধানেই জামিয়া যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলুক।’
ওদিকে মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেবও যদি মুফতি মনসুরুল হক সাহেবকে বলেন, ‘আপনি আমাদের মুরুব্বি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। এখন থেকে জামিয়া রাহমানিয়ায় আপনি বোখারি শরিফের দরস দেবেন।’
এভাবে একটা সমাধান যদি বেরিয়ে আসে, তাহলে সব কূল রক্ষা পায়। কওমি অঙ্গনেও নতুন করে বিরোধের দুয়ার খোলে না। ইতোপূর্বে দেশের কোনো কোনো মাদরাসা নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রিক অনেক যোগ্য যোগ্য আলেমকে বহু বছর ধরে কওমি অঙ্গন অনেকটা এড়িয়ে চলে।
মুফতি মনসুরুল হক সাহেবের পক্ষে হয়তো আদালতের রায়ের কপি আছে। কিন্তু দুই দশক যাবত তত্ত্বাবধান ও দায়িত্ব পালনের কারণে মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেবদের প্রতি অধিকাংশের নৈতিক সমর্থন এবং মাওলানা মামুনুল হক সাহেব কারাবন্দি থাকায় সহমর্মিতাও রয়েছে। সর্বোপরি শাইখের পরিবারের প্রতি শাগরিদ, অনুরাগীদের সমর্থনের কথা তো বলাই বাহুল্য।
এসব কারণে সচেতনদের বিশ্বাস, মুফতি মনসুরুল হক সাহেব সবদিক বিবেচনা করে সাধারণ আলেম এবং ছাত্রদের অনুভূতির সামনে নিশ্চয়ই নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। কারণ নিজের ইলমি যোগ্যতা ও ধারাবাহিক খেদমত এবং বড়োদের দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে এমনিতেই তিনি কওমি অঙ্গনের অভিভাবকের জায়গায় পৌঁছে গেছেন। নিশ্চয়ই তিনি সে কথা ভুলে যাবেন না। রাব্বুল আলামিন সবার জন্য কল্যাণের ফয়সালা করেন।
লেখক : আলেম চিন্তক ও গবেষক

Post a Comment